সোমবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১০

যেমন আছি এখন___

অনেকদিন কিছুই লেখা হয়না, ইচ্ছে গুলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। সারাটা দিন অফিসে কাটিয়ে আর কোন শখ বা ইচ্ছের ডানা মেলে দিতে মন চায়না। এই কাজ আমার সব নিল, ইচ্ছে মতো ঘুড়ে বেড়ানো, ইচ্ছে মতো ঘুমানো, ইচ্ছে মতো গান শোনা আরো আরো কত কি। সব কিছুই চলছে নিয়ম মাফিক, বড্ড হাপিয়ে উঠি এই নিয়মের বেড়া জালে আটকে পড়ে।

কয়েকদিন হতে বৃষ্টির আশা করছিলাম ভীষন, অবশেষে সেই বৃষ্টির দেখা পেলাম গতকাল সকালে, ঘুমটাই ভেঙ্গেছে মেঘের গুরুম গুরুম শব্দে। বারান্দায় বেরিয়ে দেখি কিসের কি, মেঘ গুলো সব দক্ষিনের হাওয়ায় উত্তরে ভেসে যাচ্ছে, তাই দেখে মনে মনে বলছিলাম একটু বৃষ্টি হলে কি এমন হতো। নিজের মনেই মেঘগুলোর বেশ এক হাত নিয়ে নিলাম। বেলী ফুল গাছটা ফুল ফুটে সাদা হয়ে আছে, তাই দেখে মনটা আনন্দে ভরে গেল, সেই ফুলে নাক ডুবিয়ে প্রান ভরে সুঘ্রান নিলাম, আহ কি মিষ্টি সুগন্ধি।

আজ খেলা ভাঙ্গার খেলা, খেলবি আয় আয় আয়
সুখের বাসা ভেঙ্গে, খেলবি আয় আয় আয়_________ বাহ্ মন্দ লাগছেনা নিজের মনে গুনগুনিয়ে উঠতে। হুমম রবীন্দ্র রচনাবলীটা অনলাইনে খুঁজে পাচ্ছিনা কয়েকদিন হতে, মনে পড়ল ওটা আজ খুঁজতে হবে।

অবশেষে বৃষ্টির দেখা পেলাম আমার শহরে, তাও কখন? যখন আমি অফিসের বের হবো ঠিক তখুনি। মৌসুমের প্রথম বৃষ্টির ছোঁয়া উপভোগ করবার সৌভাগ্য হলোনা আমার কারণ ----- আবার সেই কাজ।
এতো সবকিছুর পরেও আবার সেই কাজ আমায় প্রতি নিয়ত বেঁচে থাকার প্রেরনা যোগায়, ভুলে থাকতে সাহায্য করে আমার অনেক দুঃসহ কষ্টের স্মৃতি।

৬টি মন্তব্য:

Riton Khan বলেছেন...

তোমার লেখাটি পড়ে একদিকে যেমন আনন্দিত হয়েছি, আবার অন্যদিকে মনটা ব্যথিত হয়েছে। আসলে আমাদের সময়টা একটা ছিন্নভিন্ন সময়। আমরা বসবাস করছি এমন একটা লগ্নে যেখানে মানুষের মূল্যবোধকে খাটো করে দেখার মানুষের সংখ্যা বেশি। মনুতে পাওয়া যায়, মা মাসি মামা পিসের সঙ্গে কী রকম ব্যবহার করতে হবে, গুরুজনের গুরুত্বের মাত্রা কার কতদুর, ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূদ্রের মধ্যে পরস্পরের ব্যবহার কী রকম হবে, কিন্তু সাধারণভাবে মানুষের সঙ্গে মানুষের ব্যবহার কী রকম হওয়া উচিত তার বিধান নেই (বরিঠাকুর)। তোমাকে রবিবাবুর কিছু উক্তি শোনাই আশা করি তুমি কিছু মনে করবে না।
মানুষের মধ্যে দুটো দিক আছে, এক দিকে সে স্বতন্ত্র আর এক দিকে সে সকলের সঙ্গে যুক্ত। একটাকে বাদ দিলে যেটা বাকি থাকে সেটা অবাস্তব। এই কথাটি যদি উপলব্ধি করতে পারো তবে আশা রাখি তোমার কষ্টটা অনেকখানি লাঘব হবে।
প্রকৃতিকে নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কি অসাধারন সেই গান;
"তিমির-অবগুণ্ঠনে বদন তব ঢাকি
কে তুমি মম অঙ্গনে দাঁড়ালে একাকী॥
আজি সঘন শর্বরী, মেঘমগন তারা,
নদীর জলে ঝর্ঝরি ঝরিছে জলধারা,
তমালবন মর্মরি পবন চলে হাঁকি॥
যে কথা মম অন্তরে আনিছ তুমি টানি
জানি না কোন্‌ মন্তরে তাহারে দিব বাণী।
রয়েছি বাঁধা বন্ধনে, ছিঁড়িব, যাব বাটে--
যেন এ বৃথা ক্রন্দনে এ নিশি নাহি কাটে।
কঠিন বাধা-লঙ্ঘনে দিব না আমি ফাঁকি॥"

নুশেরা বলেছেন...

মুনিয়া,তোমার ব্লগস্পটে সাম্প্রতিক লেখা দেখে ভালো লাগছে খুব। আমি নুশেরা আপু। দেশে এসেছি। আমরা চট্টগ্রামের ব্লগাররা ১৭ তারিখ শনিবার একসঙ্গে কিছু সময় কাটাতে চাইছি। তুমি এলে আমি খুব খুশি হবো। আসবে নাকি? তাহলে তাড়াতাড়ি আমাকে মেইল করো। nusheraএটজিমেইলডটকম।

যাযাবর বলেছেন...

"একটু বৃষ্টি হলে কি এমন হতো।"
আক্ষেপটা একদম বুকে গিয়ে লাগলো! :(

নামহীন বলেছেন...

সময় কেমন করে বদলে যায়! লিখা টা পড়ে খুব ভালো লাগলো।

বৃষ্টি বিলাসিনি বলেছেন...

eibhabe gayeb hoye gele je?

যাযাবর বলেছেন...

আটমাস আগের শেষ লেখা!!! কোথায় গায়েব হয়ে গেলেন??