বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০০৮

মনের ভাবনা ।

ইদানিং কেন জানিনা লিখতে ভাল লাগেনা। লিখতে বসেও দেখা যায় কোন বই, ম্যাগাজিন এইসব পড়ি, খুব মনযোগ দিয়ে পড়ি তাও নয়। গত বছর ডিসেম্বর মাসে যা ঘটেছে তার পর থেকে ডিসেম্বর মাস বললেই আতঙ্কিত বোধ করতাম। সবসময় শঙ্কা কাজ করতো মনে এই বুঝি আবার কোন বিপদ চলে আসে কিনা তাই ভেবে। অবশেষে দেখতে দেখতে কেটে গেল মাসটি শুধু তা নয় পুরো বছরটাও শেষ হয়ে গেল। কি পেয়েছি আর কি হারিয়েছি তার হিসাব কষতে গেলে দেখা যাবে আমার হারানোর দিকের পাল্লাটি একটু বেশী ঝুঁকে থাকবে।


এক পায়ে নূপুর আমার অন্য পা খালি
এক পাশে সাগর এক পাশে বালি
তোমার ছোট তরী বল নেবে কি?


বেজেই চলছে গানটি আর মনে মনে ভাবছি আহা আমায় যদি কেউ এইভাবে আকুল হয়ে ডাক দিতো তবেতো দিতাম ছুট। অনেকটা দিন পেরিয়ে গেল কোথাও যাওয়া হয়না। নিত্যদিন অফিস গিয়ে সেই একই নিয়ম মাফিক সব কাজ সম্পন্ন করতে গিয়ে বিরক্ত লাগছে। এই ডিসেম্বরে অফিস করেছি অনেক কম তবুও কেমন যেন লাগছে, ঠিক বোঝানো যায়না অনুভুতি গুলো।


যদি বন্ধু হও যদি বাড়াও হাত
যেন থামবে ঝড় মুছে যাবে রাত
হাসি মুখ তুলে অভিমান ভুলে
রাঙা সূর্য্য বলবে সুপ্রভাত।
সবার রঙে মিশলে রং
সুরে মিললে সুর হবে
পুরনো যত দ্বিধা দ্বন্ধ দুর
যদি ভাগ করে নাও দুঃখ সুখ
বোঝ তোমার আমার নেই তফাৎ।
হাসি মুখ তুলে অভিমান ভুলে
রাঙা সূর্য্য বলবে সুপ্রভাত।


শুভমিতা গেয়ে চলেছে বন্ধু নিয়ে চমৎকার একটি গান। আগামী কাল নতুন একটা বছর প্রবেশ করবে, সব কিছুই নতুনভাবে শুরু করতে হবে জানি। এমন কত নতুন বছরকে বরণ করেছি সব বন্ধুরা একসাথে মিলিত হয়ে গানে গানে আর হৈ হুল্লোর করে। এখন কে কত দুরে চলে গেছে, মুঠো ফোনে শুধু কয়েক লাইনের বার্তা পাঠিয়েই আমরা আমাদের বন্ধুতা রক্ষা করে চলেছি। 

বাংলাদেশের জন্য নতুন বছরটি বয়ে আনুক অনেক অনেক শুভ বার্তা। দেশের জনগণ নতুন একটি সরকার এনেছে, বিজয়ের মাসে আরেকটি বিজয় নিয়ে এলো আমাদের দেশবাসী। এবার ভোট দিতে গিয়ে কোন লোকজনকে আতঙ্কগ্রস্ত হতে দেখিনি সেটাই ছিল অনেক ভাল লাগার ব্যাপার। দুপুর বেলা ভোট দিতে গেলে নিজের ভোট অন্য লোক দিয়ে দেবে তাই ভেবেও কেউকে দেখিনি চিন্তিত হতে। যারা এবার প্রথম ভোট দিল তাদেরও উৎসাহের কমতি ছিলনা দেখেছি। তাই বর্তমান প্রজন্মের অনেক অবদান রয়েছে নতুন এই সরকার গঠনের ব্যাপারে। সুন্দর সু-শৃংখল ভাবে লোকজন ভোট দিচ্ছিল তাই দেখতে ভীষন ভাল লাগছিল। তখন মনে হচ্ছিল আমাদের দেশের জনগণ চাইলে কি-না করতে পারে। 

প্রার্থনা করি নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক সুখ, শান্তি আর সমৃদ্ধি। সবার জীবন ভরে থাক ভালবাসা আর স্নেন মমতায়।


রবিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০০৮

মেঘ হলে মন বিকেল বেলায়.....

মেঘ হলে মন বিকেল বেলায়
একলা যেতাম মেঘের বাড়ী।
মেঘ হতো কাশ ফুলের দু-চোখ
দৃষ্টি কিন্তু খুব আনাড়ী আনাড়ী।।

কিন্তু মনে মেঘ থাকেনা
মেঘ ছাড়া আকাশ খালি
বোতাম খোলা জানালা বুকে
বইছে হাওয়া শুধু শুন্যতারি
মেঘ হলে মন বিকেল বেলায়
একলা যেতাম মেঘের বাড়ী।।

মন খারাপে মেঘের গায়ে
আঁকছে আকাশ একলা ছবি
মেঘ থেকে মেঘ শব্দে সুরে
গল্প সবই যন্ত্রনারই।

এখন আকাশ একলা থাকে
মেঘ নেই আর মেঘের বাড়ী
বোতাম খোলা জানালা বুকে
বইছে হাওয়া শুধু শুন্যতারি


মেঘ হলে মন বিকেল বেলায় 
একলা যেতাম মেঘের বাড়ী
মেঘ হতো কাশ ফুলের দু-চোখ
দৃষ্টি কিন্তু খুব আনাড়ী আনাড়ীll



বন্ধু তোমায় মনে পড়ে।


আজ সব বন্ধু-বান্ধবীরা এক সাথে বসেছিলাম মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলাম আজ আমি চোখের জল ফেলবনা।  কিন্তু সবাই এক সাথে হয়ে তোমার কথা বলে উঠতেই নিজের চোখের জল আটকে রাখতে পারিনি। একটা বছর পেড়িয়ে গেল, তবুও আমাদের আড্ডায় এখনো তুমি আছো। এখনো একটা আসন খালি রাখা হয় আড্ডায় তুমি আছো তাই, উপর থেকে তাকিয়ে থেকে কি সেই আড্ডায় অংশ নাও তুমি। খুব জানতে ইচ্ছে করে, ওখানে তুমি কেমন আছো? এখনো কি হঠাৎ করে উচ্চ কন্ঠে হেসে ওঠো? 

ভীষন মনে পড়ে সেইদিনটির কথা, তুমি চলে যাবার আগের দিন রাতে ফোন করে বলেছিলে....... চাকুরীতে তোমার প্রমোশনের কথা সেই কথার সূত্রে তোমায় বলেছিলাম কিপটা আমার খাওয়া কই? আর তার প্রতি উত্তরে তুমি আমায় জানালে আমি আসছি আগামীকাল, অনেক কথা জমে আছে, তোমায় অনেক কথা বলার আছে। সেই তুমি এলে আমাদের সবার কাছে তবে স্নিগ্ধ হাসি নিয়ে নয় অনন্ত ঘুমের রাজ্যের একজন নাগরিক হয়ে এলে তুমি। কি তোমার অনেক জমানো কথা ছিল এখনো মাঝে মাঝে ভাবি, আর মাত্র এক মাস পরে আমেরিকায় চলে যাবার কথা বলতে চেয়েছিলে কি? যদি ওখানে চলে যেতে অন্তত এই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও আছো জেনে হলেও ভাল থাকত তোমার কাছের মানুষ গুলো। 

মনে পড়ে কফি শপে সেই দিনটির কথা, কি কথার কারনে রাগ করে দিলাম ঠাস করে তোমার গালে চড় বসিয়ে, পুরো কফি শপের লোকজনের চোখ তখন আমাদের টেবিলের দিকে, তুমি গালে এক হাত ছুঁয়ে দিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে উচ্চ আওয়াজে হেসে উঠেছিলে আর তাতে করে আমি নিজেই লজ্জা পেয়েছিলাম, অমনি পুরো টেবিলের বন্ধু-বান্ধবীরা সব পারলে তখনই আমায় মেরেই হাড় গোড় ভাঙ্গে আর কি। পরে অনেকবার বলেছিলে তুমি আমায় চড় দিয়েছিলে এটা কোনদিন ভুলবনা, আমার বউ হয়ে যে আসবে তাকে আমি বলবো তোমার হাতে চড় খাওয়ার কথা, তাই শুনে আমি হাসতাম আর বলতাম হ্যাঁ বলো বলো তখন তোমার বউকেও শিখিয়ে দেবো কি করে তোমায় শায়েস্তা করতে হয়। 

তোমার ভীষন প্রিয় ছিল সি.আর.বি এবং নেভাল একাডেমীর রাস্তাটি, কতদিন আমরা সবাই একসাথে হেঁটেছি সেই রাস্তায়, আস্তে আস্তে সেই দল ছোট হতে লাগল, কেউবা বসল বিয়ের পিঁড়িতে, কেউবা প্রবেশ করল কর্মব্যস্ত জীবনে আর কেউবা পাড়ি দিল প্রবাসে। তবুও আমাদের হেঁটে বেড়ানোর ইচ্ছে মরে না। শুধু তুমি আর আমি হেঁটে বেড়িয়েছি অনেক গুলো দিন। 

একটা সময় তুমিও চাকুরীতে প্রবেশ করলে। যাবার আগেরদিন বলেছিলে ভাল থেকো তোমরা সবাই, গাজীপুর যাচ্ছি ট্রেনিং-এ, ওখান থেকেই ফোন করবো তোমাদের সবাইকে। একদিন যায় দুই দিন যায় এই করে করে এক সময় মাস পেড়িয়ে যায় কিন্তু কারো সাথেই তুমি যোগাযোগ করনি তাই নিয়ে আমাদের সব বন্ধুদের কি রাগ, সব বন্ধুদের একই কথা সজীব এইবার আসুক তারপর মজা বুঝিয়ে ছাড়বো। আমাদের সাথে যোগাযোগ না রাখার শাস্তি হলো তার প্রথম মাসের বেতনের সব টাকা নিজেদের হস্তগত করা। এমনি অনেক স্মৃতি তোমায় ঘিরে, যা কখনো ভুলতে চাইলেও ভুলে থাকা যায়না। 

তুমি চলে যাবার পর থেকে তোমার মা-বাবার সামনে গিয়ে দাড়াতে পাড়িনি, বলতে পারো ইচ্ছে করেই যাইনি তাদের কাছে, উনাদের কাছে গিয়ে কষ্টের বোঝাটা বাড়িয়ে দিতে চাইনি বলেই। শুনেছি আমাদের বন্ধুদের যে কোন একজনের দেখা পেলেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এই মানুষ দুজন। আমরা বন্ধুরা তোমায় হারিয়ে যতটা না কষ্ট পাচ্ছি তার চেয়ে বেশী কষ্ট পাচ্ছে এই মানুষ দুজন। এমন মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনার মৃত্যু আমাদের কারো কাছে কাম্য ছিলনা। এমন মৃত্যু যেন আর কারো জীবনে না ঘটে প্রতি নিয়ত সেই প্রার্থনা করি।
১৪-১২-২০০৮ ইং

সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০০৮

কাল রাতে আমার স্বপ্নে এসেছিলে তুমি

 

কাল রাতে আমার স্বপ্নে এসেছিলে তুমি
কাছে এসে পাশে বসে ভালবেসেছো তুমি

আমার যতো ভালবাসা ছিল দিয়েছি তোমায়
তার বিনিময়ে অমি পেয়েছি কি হায়।

তুমি ছাড়া এই জীবন আমার কিভাবে কাটবে একা
যেন কোন অজানা পথ ঘন কুয়াশায় ঢাকা।

আমারি নিঃসঙ্গ জীবনে আসবে কি তুমি
সঙ্গী হয়ে ভালবাসা হৃদয় গভীরে
সময়তো মোর থমকে গেছে তোমায় পাবার আশায়
জীবনের অপারে হয়তোবা দেখা হবে দুজনার।

তুমি ছাড়া এই জীবন আমার কিভাবে কাটবে একা
যেন কোন অজানা পথ ঘন কুয়াশায় ঢাকা।

কাল রাতে আমার স্বপ্নে এসেছিলে তুমি
কাছে এসে পাশে বসে ভালবেসেছো তুমি
আমার যতো ভালবাসা ছিল দিয়েছি তোমায়
তার বিনিময়ে অমি পেয়েছি কি হায়।

তুমি ছাড়া এই জীবন আমার কিভাবে কাটবে একা
যেন কোন অজানা পথ ঘন কুয়াশায় ঢাকা ॥

''তুমি ছাড়া এই জীবন আমার কিভাবে কাটবে একা, যেন কোন অজানা পথ ঘন কুয়াশায় ঢাকা'' গানটির এই লাইন দুটি শুনে হঠাৎ করেই চোখে জল চলে এলো, আমারি মনের কথা হয়তো তাই । 
আজ ভোর বেলা ঘুম ভাঙ্গার পরেই টিভি টা ছাড়তেই পর্দায় ভেসে এলো সুন্দর এই গানের ভিডিও টি। চোখের সামনেই সমুদ্রের নীল জলের ঢেউ দেখে মূহুর্তেই মনটা খারাপ হয়ে গেল হোকনা সেটা টিভির পর্দায় তবুও। সমুদ্র মানুষের মনটা অনেক সময় ভীষন ভাল করে দেয় আবার অনেকটা খারাপও। বরাবরই সমুদ্র আমায় কাছে টানে তাই হয়তো এই গানের ভিডিও চিত্রটি আর গানটি আমার হৃদয়কে ছুঁয়ে গেছে। বাংলা গানের অনেক সুন্দর ভিডিও চিত্র ধারন হয়তো হয়ে থাকবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমার দেখা এতো সুন্দর গানের ভিডিও আর দেখিনি। 

বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০০৮

মন ভালো নেই

মন ভালো নেই বলনা কিছুতেই
তবু বুঝে নেবে কে আছে
দেখো কেউ কাছে নেই তবু তুমি এগুবে
ভাঙ্গা পথ সাথী কে হবে,

যদি কখনো আমায় মনে পড়ে যায়
খোল দুয়ার আকাশে আমি তারাময়
যদি কখনো ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হয়
সাগ
হয়ে আজ জড়াবো তোমায়।

কে বল কে দেখাবে পথ তোমাকে
যদি যাও হারিয়ে এ শহরে
যদি কখনো আমায় মনে পড়ে যায় 
খোল দুয়ার আকাশে আমি তারাময়।

হাওয়াতে এলো চুল মুখে এসে পড়ে
যদি না থাকি তা কে সরাবে,
যদি কখনো আমায় মনে পড়ে যায়
খোল দুয়ার আকাশে আমি তারাময়
যদি কখনো ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছে হয়
সাগ
হয়ে আজ জড়াবো তোমায় ॥

মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০০৮

কদম ফুলের তিক্ত অভিজ্ঞতা



 "বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল করেছো দান
আমি দিতে এসেছি শ্রাবণের দান"

ছোট বেলা থেকেই এই গানটা শুনে শুনে বর্ষার কদম ফুলের প্রতি একটা টান অনুভব করতাম। কদম ফুল দেখেছি অনেকবার কিন্তুু গাছ দেখতে কি রকম হতে পারে তা আমার জানা ছিলনা। এই গাছ দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে এখন আমি যে বাসাতে থাকি সেই বাসায় আসার পরেই। এই বাসাটিতে আসার পর বেশ কয়েকটা বছর কেটে যাবার পরেও আমার পরিবারের কেউ বুঝতে পারেনি বাসার সামনের সরু রাস্তার ওপাড়ে পাহাড়ের নীচে একটা কদম ফুল গাছ আস্তে আস্তে বেড়ে উঠছে, যার দূরত্ব আমাদের ছয় তলার বাসা থেকে সামান্য একটু। আষাঢ় মাসে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টির পরে একদিন দেখি বাসার সামনের গাছটিতে সবুজ পাতার ফাঁকে ফাকে সাদা গুটি বেরিয়েছে। অনেক কৌতুহল নিয়ে ছোট বোনদের ডেকে গাছটি দেখালাম। বৃষ্টির জলে ধোয়া সবুজ পাতার ফাঁকে সাদা গুটি গুলো দেখতে ভীষন সুন্দর লাগছিল, মনে মনে ভাবছিলাম হয়তো হবে কোন নাম না জানা পাহাড়ী গাছের ফুল অথবা ফল। এরপর কয়েকটা দিন যাবার পরে লক্ষ্য করলাম এটা আর নাম না জানা নয় রবি ঠাকুরের লেখা সেই চেনা গানেরই কদম ফুল। তখন আমাদের আনন্দ দেখে কে। তিন বোন মিলে সারাদিন গাছটা দেখি আর ভাবি, আহা কখন ফুল গুলো আরো বড় হবে। আমাদের বাসায় যত বন্ধু-বান্ধব আসুক সবাইকে ডেকে ডেকে গাছটা দেখাই আর বলি দেখ কি সুন্দর কদম ফুল গাছটা।

বেশ কিছুদিন থেকে লক্ষ্য করছি, সন্ধ্যা নামার পরেই পুরো বাসা জুড়ে একটা বোটকা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। পুরো বাড়ীতে এয়ার ফ্রেশনার সেপ্র করা হয় কিন্তুু সাময়িক ভাবে গন্ধটা গেলেও আবার নাকে এসে লাগে। খোঁজ চলতে থাকে গন্ধের উৎস কি? একদিন ছোট বোন বলল গন্ধটা টয়লেট থেকে আসে, তখন আমরা বাকী দুই বোন মা কে বলি এটা বোধহয় প্রশ্রাবের গন্ধ। তাই শুনেতো মা টয়লেটে গিয়ে সেপ্র করে, হারপিক ঢালে আর বালতি বালতি পানি ঢেলে পরিস্কার করতে থাকে তবুও গন্ধ যায়না। আর এই দিকে বাসায় কোন অতিথি এসে বসার ঘরে কিছুক্ষন বসার পরেই হাত দিয়ে নাক বন্ধ করে অথবা উসখুস করতে থাকে, তাই দেখেতো আমরা লজ্জায় মরি, অনেকে আবার বলে ফেলে কিসের যেন একটা গন্ধ পাচ্ছি।

কদম ফুল গুলো যখন বড় হয়ে সোনালী রং ধারন করলো, একদিন দুপুর বেলা একটা ছোট ছেলেকে গাছে উঠিয়ে অনেক গুলো ফুল পাড়িয়ে আনলাম, আমাদের তিন বোনের আনন্দ উপচে পড়ছে কদম ফুল হাতে পেয়ে। কিছু ফুল বসার ঘরের ফুলদানিতে যত্ন করে পানি দিয়ে সাজিয়ে রাখলাম আর কিছু ফুল রাখলাম নিজের রুমে বিছানার পাশেই। ঐ দিন মাঝরাতে ঘুম ভাঙ্গার পর এতো বেশী গন্ধটা নাকে লাগছিল পেট মোচড় দিয়ে ভিতর থেকে সব বেরিয়ে আসতে চাইছিল। রুমে এয়ার ফ্রেশনার সেপ্র করলাম তাও যায়না, শেষ পর্যন্ত মায়ের শখের পারফিউম এর একটা এনে নিজের কাপড়ে, বিছানায় সেপ্র করলাম। হঠাৎ আমার ভাবনায় এলো অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ গন্ধটা তীব্র ভাবে নাকে লাগার কারন বাথরুম নয় অন্য কিছু হবে, কি ভেবে যেন কদম ফুল গুলো পরম মমতায় হাতে নিয়ে যেই নাকের কাছে এনে একটা গভীর নিঃশ্বাস নিলাম তখনি ভিতরে ঢুকলো সেই বোটকা গন্ধটি। সাথে সাথে অনুভব করলাম তীব্র গন্ধের উৎসটা এতদিন যাবৎ কোথায় ছিল।

এরপর থেকে প্রতি বছর বর্ষা এলেই আমরা তিন বোন সেই গন্ধটার কথা ভেবে আতঙ্কে মরি। বাসায় অতিথি এলে যখন দেখতাম গন্ধের উৎস খোঁজার জন্য এদিক ওদিক তাকাচ্ছে তখন বোনদের মধ্যে যে কেউ বলে উঠতাম আপনি কি কোন গন্ধ পাচ্ছেন, ওটা কদম ফুলের গন্ধ, অন্য কিছুর গন্ধ নয়, জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখুন ওইতো কদম ফুল গাছ।

কদম ফুল নিয়ে এত তিক্ত অভিজ্ঞতা হবার পরেও আমার মা গতকাল হঠাৎ করে গাছটার দিকে তাকিয়ে বলে উঠল, এই বছর এখনো কদম ফুল গাছটাতে ফুল এলোনা, ভালো করে বৃষ্টিটা পড়েনা কেন, তাহলেইতো গাছটা ফুলে ফুলে ছেয়ে যেতো।

১৮-০৬-২০০৮

(এই লিখাটি লিখেছিলাম বর্ষা কালে। অনেকদিন আগে লিখা কদম ফুল নিয়ে আমার এই তিক্ত অভিজ্ঞতাটি হঠাৎ ইচ্ছে হলো আপনাদের একটু বলি, তাই এখানে দিয়ে দিলাম। )

সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০০৮

Bhalo Acho?

                 Dekha
    
 Sunil Gongopadday


Bhalo Acho?
- Dekho Megh, Brishti Ashbe.
Bhalo Acho?
- Dekho Ishan Koner Alo, Shunte Paccho,
                                                       Jhor?
Bhalo Acho?
-Ei Matro Chomke Uthlo Dhopdhope Biddyut.
Bhalo Acho?
- Tumi Prokritike Dekho
- Tumi Prokriti Aral Kore Dariye Royecho
Amito Onur Onu, Shamanyer Ceyeo
                                                Shamnyo
Tumi Jalao Agni, Tolo Jhor, Rokte Eto
                                            Unmadona
-Dekho Satyekar Brishti, Dekho Satyekar Jhor
Tomake dekhai Ajoo Shes Hoyni,
                                  Tumi Bhalo Acho?



Amar besh kichu pochonder kobitar moddye Sunil er ei kobita ti vhison priyo, prothom jedin ei kobitati amar kacher manushti abritti kore shonalo besh onekkhon sthobdho hoye mukh nichu kore boshe chilam... Chokh tule takate parini tar dike karon chokhe tokhon jol tolmol korchilo. Mone mone vhabchilam ki kore likhechen kobi amader dujoner moner kotha gulo kobi ki janten pray onek manushirei moner kotha hote pare egulo.

Jotobar dekha korte ashto totobarei eshe amay jiggesh korto tumi bhalo acho othoba kemon achogo meye tar proti uttore konodin kichui bolte parini ami.... shudu chokh namiye mukh nichu kore bose thaktam noyto onnyo kotha bole proshoner uttorti eriye jetam. tobuo se bar bar amay jiggesh korei jeto, amar kache ei porshonotir uttor totodin hoyto pabena sei manushti jotodin take amar kore pabona. Kivhabe boli ami vhalo achi, etota dure theke ki vhalo thaka jay. 

majhe majhe govir rate jokhon ghum vhenge jay hathat korei take phone kore boli bhalo acho kobitati shonabe ektu. tokhoni se bole uthe bhalo acho? chup kore thaki phone er epashe ami, kono uttor na peye ek somoy puro kobitati shuniye jay se amay shes howa matroi khut kore kete dey phone line. are ami tokhono phone ta kane dhore bose thaki... tokhono amar kane bajte thake tar vhorat konthoshorer kobita abrittir protiti line. 

Bhalobashar Odhikar

Jojon jojon dure.... Bohu - Bohu Jojon Dure
Groho are Grohantor Periye
Thako Tumi Nokkhotrer Bhubone
Tobu Protiti Ghum Vhange Amar
Tomar Bhalobashar Komol Sporshe
Jedike Takai Shudu Aloy Alokmoy.

Debe Ki Tomar Prothom Prohor Theke
Ektu Shudu Prothom Alor Jholkani
Ami Bhangabo Ghum, Jara Jegeo Ghumiye
Jagabo Sobayke Shuvo Shuchonay.

Moddhanyer Shurjyo, Bhalobasho ki Amay?
Eto Alo Niye Kemne Thako
Nishchup, Nirbak Thay Dariye,
Tobe Dao Gongone Khorotap
Ami Jalabo, Porabo Totokhon
Jotokhone Hobe Shob Jongal Pure Khak.

{Ei Kobitati likhechilam pray bochor tin age, Boishakh er prothom magazine e hathat kore ei kobitati prokasher jonnye diye diyechilam, prokashito hobar pore onek vhalo vhalo lekhar majhe nijer ei kobita ti dekhe nijer kachei lojja legechilo :-)}


রবিবার, ১২ অক্টোবর, ২০০৮

Onubhuti

Nijer chaypash lekha gulo karo sathe vhag kore nite kokhono icche kortona...pache amar ei lekha pore keuba mukh tipe hasha-hashi koruk ta chaini bolei hoyto... Majhe, majhe nijer jonnye likhe gechi vhalo laga, mondo lagar onubhuti are kono mon kharap korano diner kotha. Sojotone segulo thai kore niyeche amar jomano onek gulo dairy'r pata te. Boishakh e eshe besh koyekjon manusher shundor kichu lekha porte porte nijer mone ektu ektu kore sahos sonchoy korte laglam lekha gulo ek duijon manushke porte dite, tobuo abar pichiye ashtam ei vhebe pache keu jodi hashte thake.... karon jara likhe tara onek shundor kotha mala diye sajiye likhe. Thik ei muhurthe Robi Thakurer ekta gaaner duto line mone pore gelo amar....

"Tumi Kemon Kore Gaan Koro He Guni
Ami Obak hoye Shuni Kebol Shuni"

Ganer ei kothatir moto amio obak hoye vhabi ki kore guchiye, chondo miliye shobder por shobdo bosiye likhe ora sobay.